প্রকাশ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:২২
হাজীগঞ্জে জোড়া খুনের সম্পৃক্ত মিজান আটক
হাজীগঞ্জে জোড়া খুনের ঘটনায় র্যাবের হাতে আটক মো. সোহাগ (২৫) পর এবার পুলিশের হাতে আটক হয়েছে মিজানুর রহমান (৫২) নামের একজন। এ নিয়ে খুনে জড়িত সরাসরি ২ জন আটক হলো। উভয়কে নিয়ে
|আরো খবর
চুরিকৃত একটি কাসা/পিতলের মগ উদ্ধার করেছে পুলিশ। হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রশিদের নেতৃত্বে শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত এসব মালামালের উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় র্যাবের হাতে আটক মো. সোহাগ ও সন্দেহভাজন হিসাবে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে ১২ জনসহ মোট ১৩ জনকে আটক করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এর মধ্যে মো. সোহাগ ও মিজানুর রহমান হত্যাকাণ্ডের সাথে সরাসরি জড়িত বলে স্বীকার করেছে বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় তাদের সাথে অন্য যারা সম্পৃক্ত ছিলেন বা আটকৃতদের মধ্যে আছেন, তদন্তের স্বার্থে র্যাব ও পুলিশ এমন তথ্য জানাতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।জানা গেছে, গত ৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মো. সোহাগ ও মিজানুর রহমানসহ চোর চক্র মদ পান করে চুরির উদ্যোশে জানালার গ্রিল কেটে দুলাল সাহার বসতঘরে প্রবেশ করলে ঘরে থাকা উত্তম চন্দ্র বর্মন তুফান (৭০) ও তার স্ত্রী কাজলী রানি বর্মণ (৫৫) ঘুম থেকে জেগে ওঠে এবং তাদেরকে চিনে ফেলে।
এ সময় তারা ডাক-চিৎকারের চেষ্টা করলে হাত-পা, চোখ বেঁধে বিছানার উপর বালিশ চাঁপা দিয়ে তাদেরকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং ঘরের জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যায় চোরচক্র। যা আসামি মো. সোহাগ র্যাবের কাছে স্বীকার করে। চুরিকৃত মালামাল ওই দিন রাতেই মিজানের ঘরে রাখা হয় এবং পরে মিজান একটি কাসা/পিতলের মগ রেখে অন্য মালামাল একজন ভ্রাম্যমান হকারের কাছে ২ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি করে দেন।
শুক্রবার বিকালে পুলিশ মিজানের ঘর থেকে কাসা বা পিতলের মগটি উদ্ধার করে। এদিকে র্যাব ও পুলিশের হাতে আটককৃতরা হলেন, রাশেদ, রাকিব, আলমাছ, দিদার, মাসুদ, শ্যামল, হারেছ, আলামিন, ফয়সাল, সোহাগ, মিজানুর রহমান, বাবুল, মাসুদ। এর মধ্যে মো. সোহাগ ও মিজানুর রহমান সরাসরি হত্যাকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত বলে স্বীকার করেছেন বলে জানা গেছে।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ জানান, এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।